তিনবার দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন মুমিনুল হক সৌরভ। অনেকেই বলছিলেন, অধিনায়কত্বের চাপেই মুমিনুলের ব্যাটিংয়ের এই অবস্থা। তাই অধিনায়কত্ব ছেড়ে মুমিনুলের ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হওয়ার কথাও বলা হচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মুমিনুল হক সৌরভ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় দেখা করে এমন সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান মুমিনুল।
টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকেই তার ব্যাটিং গড় নিম্নমুখী। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ টেস্ট খেলে মুমিনুল ৩২.৪৪ গড়ে রান করেছেন মাত্র ৯১২।
সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্স এবং দলের প্রত্যাশিত ফল না হওয়ায় নেতৃত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সড়ে দাঁড়ান মুমিনুল।
২০১৯ সালের অক্টোবরে সাকিব আল হাসানের অবর্তমানে টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয় মুমিনুল হক সৌরভকে। তার নেতৃত্বে ১৭ টেস্টে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তিনটি টেস্ট জিতেছে, ড্র করেছে দুটি, হেরেছে ১২টিতে।
ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০তে হারে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৫৩ ও ৮০ রানে দুই ইনিংসে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ সিরিজ হারে ২-০ ব্যবধানে।
দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের জন্য দায়ি করা হচ্ছে মুমিনুল হক সৗরভকে। ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা বলছেন অফ ফর্মে থাকা মুমিনুল দলকে নেভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারছেন না। নিজের বাজে পারফরম্যান্সের প্রভাব দলের ওপর পড়ছে। যে কারণে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ মেনেই স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মুমিনুল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুমিনুল বলেন, অধিনায়ক হিসেবে দলে অবদান রাখতে পারছি না। আমার মনে হয় এ সময়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়াটা ভালো।
তিনি আরও বলেন, অধিনায়ক হিসেবে যখন ভালো খেলবেন, দল না জিতলেও আপনি দলকে উজ্জীবিত করতে পারবেন। আমি ভালো খেলতে পারছি না, দলও ভালো করছে না। এ সময়ে অধিনায়কত্ব করা খুবই কঠিন। আমি যদি সৎ থেকে চিন্তা করি, তাহলে মনে হয় এখন অধিনায়কত্ব না করাটাই ভালো।